স্বদেশ ডেস্ক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে তার নিজ গ্রাম ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়রের জান্দি গ্রামে মসজিদের পাশে দাফন করা হয়েছে। তবে এ সময় তার স্ত্রী ও সন্তানদের কেউ সেখানে ছিলেন না। তারা অসুস্থ থাকায় আসতে পারেননি বলে জানিয়েছেন মহিউদ্দিনের ভাইয়েরা।
বুধবার (২৭ জুলাই) রাত ১০টার দিকে রাজশাহী কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হয় অধ্যাপক এস তাহের হত্যা মামলার দুই আসামি ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলমের। সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিবারের পক্ষে তার ভাই আরজু মিয়া লাশ গ্রহণ করেন। এরপর দুটি পুলিশ ভ্যানের প্রটেকশনে ভোর পৌনে ৬টার দিকে ড. মহিউদ্দিনের লাশ তার গ্রামের বাড়ি পৌঁছে।
তুজারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওলিউর রহমান খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘শুক্রবার (২৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে জান্দি গ্রামের মিয়া বাড়ি জামে মসজিদের পাশে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে তার বাড়ির উঠানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন মসজিদের ইমাম মো: রফিকুল ইসলাম। শতাধিক গ্রামবাসী এতে অংশ নে।’
তবে শেষ মুহূর্তেও ছেলের ফাঁসির খবর জানেন না ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের শতবর্ষী বৃদ্ধা মা সেতারা বেগম। সেখানে সন্তানের লাশ এসেছে জানতে পেরে মূর্ছা যান তার মা।
গ্রামের সাধারণ মানুষ, মিয়া মহিউদ্দিনের ছোটবেলার সহপাঠী, শিক্ষকসহ আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই মহিউদ্দিনের লাশ এক নজর দেখতে দলে দলে ছুটে আসেন তাদের বাড়িতে।
মহিউদ্দিনের ভাই আরজু মিয়া বলেন, তার বড় ভাই মিয়া মহিউদ্দিনের স্ত্রী ও সন্তানেরা অসুস্থ থাকায় লাশ দাফন করতে আসতে পারেননি।
তিনি আরো বলেন, ‘যা হওয়া তা হয়ে গেছে। এখন আর বলার কিছু নাই। তবে আমার ভাই নির্দোষ ছিলেন।’
ব্যক্তি জীবনে ইয়াফি ও ইউসি নামে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক ড. মহিউদ্দিন। তার বাবা মরহুম আব্দুল মান্নান মিয়া খুলনা জুট মিলে চাকরি করতেন। ১৯৮১ সালে তিনি ভাঙ্গা কেএম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিষয়ে ভর্তি হন।